দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি : নগরীর দক্ষিণ সুরমায় জনগুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রায় ২ বছর থেকে সংস্কার না করায় বেহাল রূপ ধারণ করেছে। এর মধ্যে রাস্তা সংস্কার কাজের খোঁড়াখুঁড়িতে আরো জনদুর্ভোগে পড়েছেন লোকজন। সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে গিয়ে সড়ক জুড়ে ছোট-বড় হাজারো গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙাচুরা এসব সড়কের কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাস্তার ওপর যখন-তখন বিকল হয়ে পড়ছে গাড়ি। রিকশা-অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকসহ ছোটখাটো গাড়িগুলো গর্তে পড়ে উল্টে যায়। এতে অনেকজন গুরুতর আহত হন।
দক্ষিণ কিন ব্রিজ থেকে টার্মিনাল সড়ক, চাঁদনিঘাট সড়ক, কদমতলি পয়েন্ট, টেকনিক্যাল সড়ক, বাবনা হয়ে লাউয়াই সড়ক, কদমতলি হয়ে জকিগঞ্জ সড়ক ও হুমায়ুন রশীদ চত্ত্বর এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের স্থানে স্থানে পিচ উঠে গিয়ে সড়ক জুড়ে ছোট-বড় প্রায় হাজারো গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যেন দেখার কেউ নেই।
এছাড়া এসব সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতশত বাস, ভারী মালবাহী ট্রাক, প্রাইভেট গাড়ি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, রিকশা, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, ভ্যান, বিভিন্ন কোম্পানির মালবাহী গাড়িসহ সরকারি-বেসরকারি যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু সড়কটি খানাখন্দে ভরপুর হওয়ায় যানবাহন চলে ঝিমিয়ে।
একাধিক চালকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সড়কে খুব বড় বড় গর্ত রয়েছে। এসব গর্তে গাড়ির চাকা পড়লে সহজে গাড়ি গর্ত থেকে তোলা সম্ভব হয় না। বৃষ্টি দেয়ার পর এসব গর্তে পানি জমে থাকে। এতে চালকরা গর্তের গভীরতা বুঝে উঠতে পারেন না চালকরা। যাত্রীরা বেকায়দায় পড়েন। চলতি বছরে একাধিকবার পরিবহণ মালিক ও শ্রমিক সমিতি সড়ক সংস্কারের দাবির মুখে পড়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বড় বড় গর্তে ইট দিয়ে তালি দিয়েছেন। এই জোড়তালির কারণে আগের চাইতে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে আরো বহুগুণ।
অভিযোগ রয়েছে, এসব সড়ক দিয়ে রোগীদের নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার সময় ভাঙা সড়কের ঝাঁকুনিতে অনেক রোগীর মৃত্যু ও প্রসূতি মা নিয়ে যাবার পথে সড়কেই ডেলিভারি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে থাকে।